,

করোনা সচেতনতায় চলচ্চিত্র শিল্পীদের ৯শ’ মাস্ক বিতরন

সময় ডেস্ক ॥ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একের পর এক রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ ভাইরাসে ইতোমধ্যে ২০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। এই পরিস্থিতেতে বাংলাদেশের শোবিজ তারকারাদের অনেকেই আতঙ্ক না হয়ে সচেতন হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শনিবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র‌্যালির করার পাশাপাশি হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। দুপুর ২টায় সমিতির অফিসের সামনে থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র‌্যালি করেন শিল্পীরা। এফডিসির ১ নম্বর, দুই, তিন ও চার নম্বর শুটিং ফ্লোরের সামনে দিয়ে র‌্যালি শেষ হয় এফডিসির গেটের সামনে। শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের নেতৃত্বে এই র‌্যালিতে অংশ নেন অভিনেতা ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি রুবেল, কার্যকরি সদস্য অরুন বিশ্বাস, অঞ্জনা, আলেক জান্ডার বো, জেসমিনসহ অনেকেই। এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সময়টা ভালো যাচ্ছেনা। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে দেশের মধ্যে এক ধরনের স্থবিরতা কাজ করছে। শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশেও একই চিত্র। তাই সবাইকে আহ্বান করবো বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে যেভাবে চলার জন্য বলা হচ্ছে সেভাবেই চলুন। যথাসম্ভব জনসমাগম এরিয়ে চলুন। নিজে পরিস্কার থাকুন অন্যদেরও পরিচ্ছন্ন থাকতে সহায়তা করুন।’ এফডিসির গেটে র‌্যালি শেষ করার পর সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ, রিকশা চালক, ভাসমান দোকানি, পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। ২০ মিনিটের মতো মাস্ক বিতরণের এ অনুষ্ঠানে শতাধিক মাস্ক বিতরণ করা হয় বলে জানানো হয়। এ সময় বক্তব্যে মিশা সওদাগর বলেন,‘শিল্পী হিসেবে আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষদের সচেতন করা। আমরা র‌্যালি করলাম, মাস্ক বিতরণ করলোম এটা কিন্তু খুব বড়সড়ভাবে নয়। খুব ছোট্ট আয়োজন করে। এটার অর্থ হচ্ছে আমরা মানুষদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সবাই বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করবেন।সেনিটাইজার দিয়ে হাত জিবানুমুক্ত করে নিবেন।’ র‌্যালি শেষ মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান মাস্ক হতে নেমে পড়েন রাস্তায়। রিকশা চালক এবং যারা রাস্তায় মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছিলেন তাদের নিজ হাতে মাস্ক পরিয়ে দেন সমিতির এ দুই নেতা। জায়েদ খান বলেন, ‘সামাজিক দায়বন্ধতা থেকেই শিল্পী সমিতি এটা করছে। বার বার বলছি এটা আমাদের বড় কোন আয়োজন না। আয়োজন করার বিষয়ও না এটি। আমরা সবাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অন্যদের মাঝে মাস্ক বিলি করছি। প্রতিকী আয়োজনে এফডিসির ভেতরে এবং বাইরে ৯ শ’ মাস্ক বিলি করে সবাইকে সচেতন করছি। আশা করি দেশের প্রতিটি মানুষ সচেতন হবেন। সবাই করোনাভাইরাস মুক্ত থাকবেন।’ অরুন বিশ্বাস বলেন, ‘দেশের যে কোন কঠিন মুহুর্তে শিল্পীদের এগিয়ে আসা সামাজিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকেই আমরা প্রতিকীভাবে এই র‌্যালি করছি। মাস্ক বিলি করছি। যাতে অন্যরা সচেতন হয়। যে কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত সবার। আশা করি করোনাভাইরাস থেকে সবাই সচেতন হবেন। যেভাবে বিশেষজ্ঞরা চলতে বলছেন সেভাবে চলবেন।’


     এই বিভাগের আরো খবর